বাঁশখালী প্রতিনিধি :: বাঁশখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে একটি যাত্রীবাহী বাস। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম প্রধান সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় দুর্ঘটনা কবলিত ওই বাসে থাকা যাত্রীরা প্রাণরক্ষার্থে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করলেও কোনো মামলা হয়নি বলে জানা যায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস (চট্টগ্রাম-জ-০৫-০০৫৪) সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা ৩০-৩৫ জন যাত্রী প্রাণরক্ষার্থে জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
বাঁশখালীতে চলাচলকারী অধিকাংশ গাড়ি হেলপার ছাড়া ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রায় সময় বাঁশখালী সড়কে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে।
বাঁশখালী সড়কে চলাচলকারী অধিকাংশ চালক বাঁশখালী আসা যাওয়ার মধ্যে নিজেরা বসে থেকে হেলপার দ্বারা গাড়ি চালিয়ে থাকে। অনেক সময় চালক নেমে গিয়ে হেলপারের হাতে গাড়ি তুলে দেয়। এ কারণে এসব দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
গাড়িতে থাকা যাত্রী আবুল কালাম বলেন, ‘যে চালাচ্ছিল সে চালক কি না আমাদের সন্দেহ ছিল। মোবাইল ফোন কানে গাড়ি চালাতে চালাতে গাড়িটি খাদে ফেলে দেয়। আমরা জানালা দিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে না গেলে হয়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতাম।’
গাড়ীর অপর যাত্রী নুরুল আলম বলেন, ‘বাঁশখালী সড়কের এ করুণ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরি। হেলপার দ্বারা গাড়ি চালানো, লক্কর-ঝক্কর গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। অন্য কোনো গাড়ি এই সড়কে চলাচল করতে না দেয়ায় চালকেরা যাত্রীদেরকে জিম্মি করে রেখেছে।’
এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি তেমন বড় ছিল না। তাই গাড়িটি উদ্ধার করা হলেও কোনো মামলা হয়নি।’ তবে হেলপার দ্বারা গাড়ি চালানো হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: